প্রকাশিত: Sun, Apr 7, 2024 1:05 AM
আপডেট: Sat, Jul 12, 2025 1:28 AM

[১]বাস ট্রেন লঞ্চে ঘরমুখো মানুষের ভিড়, ঈদযাত্রায় ভোগান্তি তুলনামূলক কম [২]ফাঁকা হচ্ছে রাজধানী

মাসুদ আলম: [৩] ঈদ-উল-ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছেড়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। ঈদের আগে শেষ সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও শনিবার, এর সঙ্গে রোববার শবে কদরের ছুটি যোগ হয়েছে। তাই শুক্র ও শনিবার বিপুল সংখ্যক মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন। রাস্তাঘাট অনেকটাই যানজটমুক্ত। যেসব এলাকায় মার্কেট ও শপিং মল রয়েছে শুধু সেসব এলাকায় যানজট দেখা গেছে। 

[৪] শনিবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট ঘুরে দেখা গেছে, সব জায়গায় যাত্রীদের ভিড়। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর যাত্রীদের ভোগান্তি কম। অনেকটাই যাত্রীর মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে। নির্ধারিত সময়ে বাস ছেড়ে যাচ্ছে। টিকিটের অতিরিক্ত ভাড়া আটকাতে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। টার্মিনালে পুলিশ, র‌্যাব, বিআরটিএ টিমের টহল জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। প্রতিটি কাউন্টারের সামনে নির্ধারিত ভাড়া কাটার নোটিশ টাঙানো হয়েছে। কোনো কাউন্টার অতিরিক্ত ভাড়া নিলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে নোটিশে বলা হয়েছে। তারপরও কিছু কিছু পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। 

[৫] রেলপথে ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন শনিবার কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে। তবে এদিন সকাল থেকেই প্রতিটি ট্রেন দেরি করে স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। তবে কিছুটা বিলম্বে ট্রেন ছাড়লেও আগের মতো সিডিউল বিপর্যয় নেই। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে আগের মতো ভিড় ও ভোগান্তি নেই। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে দক্ষিণবঙ্গে লোকজন অনেকে বাসে বাড়ি ফিরছেন।  

[৬] ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখগুলোতে যানজট থাকলেও দূরযাত্রায় দুর্ভোগ নেই।  ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা- আরিচা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে স্বাভাবিকের তুলনায় যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই কোনো যানজট। অতিরিক্ত চাপের কারণে মেঘনা সেতু থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি মেঘনা-গোমতী সেতু পর্যন্ত যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। 

[৭] সদরঘাট টার্মিনালে পটুয়াখালীগামী যাত্রী মো. তুহিন বলেন, লঞ্চে আগের মতো ভোগান্তি নেই। ঈদের ছুটি বেশি থাকায় আগে ভাগেই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আসতে যাচ্ছি।

[৮]  কমলাপুরে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের একাধিক যাত্রী বলেন, এ বছর ট্রেনের ব্যবস্থাপনা ভালো। আগের মতো অবৈধ যাত্রী এখন আর নেই। এতে করে কোনো রকম ধাক্কাধাক্কি ছাড়া ট্রেনে উঠতে পেরেছি। মালামাল রাখা নিয়েও কোনো দুশ্চিন্তা করতে হয়নি। 

[৯] মহাখালী বাস টার্মিনালে রাজিব নামে এক যাত্রী বলেন, আগের মতো ভোগান্তি নেই। সড়কে যানজটও কম। তবে কিছু কিছু পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। তবে আমি নির্ধারিত ভাড়ায় টিকেট কেটেছি। 

[১০] ডিএমপির দারুস সালাম জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক পলাশ সরকার বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সড়কে কোনো যানজট নেই। যাত্রীর তুলনায় পরিবহন বেশি। যাত্রী হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কোনো অভিযোগ এখনো পর্যন্ত আসেনি। এছাড়া লক্করঝক্কর ও ফিনটেসবিহীন বাসের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। 

[১১] ডিএমপির কোতয়ালী থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান বলেন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীর চাপ রয়েছে। তবে কোনো দুর্ভোগ ও  যাত্রী হয়রানি নেই। যাত্রীদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।  

[১২] বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, বিশেষ কোনো ঘটনা যদি না ঘটে তাহলে আমাদের যে ব্যবস্থাপনা আছে তাতে বাংলাদেশের সব ট্রেন সঠিক সময় চালানোর ব্যবস্থা করতে পারব। কিছুটা বিলম্ব হলে সেটা আমরা সহনীয় পর্যায়ে রাখব। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব